× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
১৬ বছর বয়সী গাছের দাম ৭৯৮ টাকা করে 
google_news print-icon

১৬ বছর বয়সী গাছের দাম ৭৯৮ টাকা করে! 

১৬-বছর-বয়সী-গাছের-দাম-৭৯৮-টাকা-করে 
২০৩টি গাছ দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার টাকায়। ছবি: নিউজবাংলা
কুষ্টিয়ায় সড়ক চওড়া করতে ১৬ বছর আগে রোপন করা ২০৩টি গাছ এক লাখ ৬১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে পৌরসভা। একেকটি গাছের দাম পড়েছে ৮০০ টাকার নিচে। অথচ স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ী বলছেন, গড়ে ছয় থেকে সাত হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত গাছগুলো। তবে দরপত্র আহ্বান করে নিয়ম মেনে ভালো দাম পাওয়ার দাবি করছে পৌরসভা।

রাস্তা সংস্কারের জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতাল সড়কের যে গাছগুলো কাটা হচ্ছে, সেগুলো নিলামে বাজার মূল্যের ছয় থেকে সাত ভাগের এক ভাগ টাকায় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১৬ বছর আগে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হিসেবে রোপণ করা ২০৩টি গাছ দরপত্রের মাধ্যমে কিনেছেন এক লাখ ৬১ হাজার টাকায়।

তবে গাছ ব্যবসায় জড়িত এক জন নিউজবাংলাকে বলেছেন, এই গাছগুলোর একেকটির ছয় থেকে সাত হাজার টাকা দাম হওয়া কথা। এই হিসাবে দাম হওয়ার কথা ১২ লাখ থেকে ১৪ লাখ টাকা। তবে ভ্যাট, কর ও অন্যান্য নানা শর্তের কারণে দাম কিছুটা কম হতে পারত। তাই বলে এতটা কম হওয়ার কথা না।

এতে পৌরসভার পাশাপাশি ঠকেছে নিম্ন আয়ের স্থানীয়রা যারা সামাজিক বনায়নের আওতায় এই গাছগুলো রোপন করেছিলেন।

কারণ, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় যেসব বৃক্ষ রোপন করা হয়, সেগুলো বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যায়, তার ৭০ শতাংশ পাওয়ার কথা উপকারভোগীদের। এই হিসাবে এই এক লাখ ৬১ হাজার টাকার এক লাখ ১২ টাকার কিছু বেশি পাবে তারা।

শহরের সাদ্দাম বাজার থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটারের মতো সড়কের পাশের এই গাছগুলো কিনেছেন কুষ্টিয়া সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াহিদ মুরাদ। তিনি বর্তমানে হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।

ওয়াহিদ মুরাদ বলেছেন, ‘করোনার মধ্যে কোনো কাজ নেই। তাই এই টেন্ডারে অংশ নিয়েছি।’

এই গাছ বিক্রিতে প্রথমবার দরপত্র আহ্বান করা হয় গত ২২ মার্চ। সে সময় সর্বোচ্চ দরদাতা ছিলেন ওয়াহিদ। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিন হাজার টাকা কম হওয়ায় পৌরসভা তাকে গাছগুলো দেয়নি।

দরপত্রে গাছগুলোর সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ একটি গাছের দাম সরকার ঠিক করে মাত্র ৭৭৮ টাকা।

৮ এপ্রিল পরের দরপত্রেও সর্বোচ্চ দরদাতা ছিলেন ওয়াহিদ মুরাদ। এবার তিনি দাম দেন এক লাখ ৬১ হাজার টাকা। অর্থাৎ তিনি একেকটি গাছ কিনেছেন গড়ে ৭৯৮ টাকায় কিনেছেন।

ওয়াহিদ মুরাদ জানান, গাছগুলো কেটে নিতে পৌরসভা তাকে এক মাস সময় দিয়েছে। তিনি ১৭ এপ্রিল থেকে গাছ কাটা শুরু করেছেন।

কুষ্টিয়ার মিলপাড়া এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী আলম হোসেন মনে করেন, এত কম দামে বিক্রি করায় পৌরসভার ব্যাপক লোকসান হয়েছে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতাল রোডের গাছগুলো দেখেছি। সাদ্দাম বাজার প্রান্তে কিছু কিছু বড় গাছ আছে সেগুলোর দাম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার উপরে। তবে কিছু গাছ আছে চিকন, ভালো বাড়েনি। সেগুলোর দাম খুব একটা বেশি হবে না। তাও সব মিলিয়ে গড় করলে একটি গাছের দাম ছয় থেকে সাত হাজার টাকা পড়বে।’

অর্থাৎ এই গাছগুলোর যৌক্তিক দাম ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা হতে পারত বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।

তবে যিনি গাছগুলো কিনেছেন, তিনি দাবি করছেন, তার খুব একটা লাভ হবে না। তিনি বলেন, ‘দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সবগুলো গাছের শেকড় তুলে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে বেশ খরচ হবে। তাছাড়া ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে খরচ পড়ছে এক লাখ ৭৫ হাজার ছয়শ টাকা। তাই এসব গাছের কাঠ ও খড়ি বিক্রি করে খুব একটা লাভ হবে না।’

২০৩টি গাছ এক লাখ ৬১ হাজার টাকায় বিক্রি করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকুও। তিনি নিউজবাংলকে বলেন, গাছগুলোর মূল্য কোনো অবস্থাতেই ১০ লাখ টাকার নিচে নয়।’

তিনি টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতন মনে করেন, গাছ রেখেই সড়ক চওড়া করা যেত। যেটা যদি একান্তই সম্ভব না হয়, তাও যৌক্তিক দামে বিক্রি করে সে টাকা উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা যেত।

তিনি বলেন, ‘বিশেষ কোনো সুবিধার কারণেই ঠিকাদারকে কম দামে কাজ পাইয়ে দেয়া হয়ে থাকতে পারে।’

তবে কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন, তারা ভালো দাম পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার টেন্ডারে তিনজন অংশ নিলেও সবার দরই ছিল তাদের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম। পরেরবার যে দাম পেয়েছি তা আমি মনে করি ভালো।’

১৬ বছর বয়সী গাছের দাম ৭৯৮ টাকা করে!

গাছগুলো রেখেই সড়ক সংস্কার করা সম্ভব ছিল না বলেও জানান এই কর্মকর্তা। বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীদের যাতায়াতের জন্য সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। গাছগুলো কাটার পর প্রথমে সড়কটি মেরামত করা হবে। এর খানাখন্দ বন্ধ করে কার্পেটিং করে দেয়া হবে। এরপর সড়কটি প্রশস্ত করার চিন্তা রয়েছে পৌরসভার। আগামী বছর মার্চের দিকে সেই কাজ হবে।’

তিনি বলেন, ‘এসব গাছ সামাজিক বনায়নের। উপকারভোগীদের সঙ্গে চুক্তি করে ১৬ বছর আগে রোপণ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১৫ বছর পেরুলে গাছ কেটে ফেলার কথা। এখান থেকে ৭০ শতাংশ টাকা পাবেন সমিতির উপকারভোগীরা। বাকি টাকা পৌরসভার।’

তবে বন বিভাগের পক্ষে বলা হয়েছে, সামাজিক বনায়নের এসব গাছ কাটতে তাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। পৌরসভা সেটা করেনি।

যশোর বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করীম বলেন, বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন নয় এমন সড়ক ও জনপথ হতেও বনজদ্রব্য আহরণ, অপসারণ বা পরিবহনের জন্য ওই ভূমি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের ন্যূনতম জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর ফরম-৩ এ আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালকের আবেদনটি করার কথা।

তবে পৌরসভা বা কোন কর্তৃপক্ষ এমন কোন আবেদন বা অবহিতপত্র দেননি বলে জানান কুষ্টিয়া সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ছালেহ মোঃ সোয়াইব খান। তিনি বলেন, ‘পৌর কর্তৃপক্ষ এই গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণের জন্য বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছিল মাত্র।’

আরও পড়ুন:
লিচুগাছের আম ছিঁড়ল কে
লিচুগাছে আম!
কোথায় হারাল বাবলাগাছ
২০০ বছরের আমগাছ
রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা কাটল ৩০০ গাছ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Even after two years of handing over the building of Tk 305 crore in Joypurhat MATs has not started 

জয়পুরহাটে সাড়ে ৩০ কোটি টাকার ভবন হস্তান্তরের দুই বছর পরও চালু হয়নি ম্যাটস 

জয়পুরহাটে সাড়ে ৩০ কোটি টাকার ভবন হস্তান্তরের দুই বছর পরও চালু হয়নি ম্যাটস 

তিনতলা ভবন নির্মাণ শেষে হস্তান্তরের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি। সেখানে নেই কোন আসবাবপত্র ও বিদ্যুৎ–সংযোগ। পর্যাপ্ত জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী বছর থেকে ম্যাটস চালুর সম্ভাবনা আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ম্যাটসে রেসিডেনসিয়াল ফিল্ড সাইট ট্রেইনিংয়ে (আরএফএসটি) কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এরপর পূর্ণাঙ্গভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি ও পাঠদানের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালে জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলীতে ম্যাটসের নির্মাণকাজ শুরু হয়।

কাজটি সম্পন্ন করে ময়মনসিংহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এস এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণ শেষে ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভবনটি তৎকালীন জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ওয়াজেদ আলীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত ২০ জানুয়ারি কে এম জোবায়ের গালিবকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তবে এখনো অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে একটি একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের দুটি পৃথক বাসভবন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য দুটি আবাসিক হল, গ্যারেজ ও অন্যান্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ক্ষেতলাল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ভবন ৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাটস বুঝিয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ম্যাটস হস্তান্তরের পর কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না। কেউ না থাকায় রাতের বেলায় কয়েক দফায় ম্যাটসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত চালু করা না গেলে অযত্ন আর অবহেলায় প্রতিষ্ঠানটি নষ্ট হয়ে হবে।

বটতলী এলাকার মিনহাজুল মুকিত বলেন, যদি চালুই করতে না পারে, তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করার কোন প্রয়োজন ছিল না।

ম্যাটসের অধ্যক্ষ কে এম জোবায়ের গালিব বলেন, আমাকে গত জানুয়ারিতে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখনো অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আসবাব ও বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর প্রতিষ্ঠানটি চালু হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ম্যাটসে রেসিডেনসিয়াল ফিল্ড সাইট ট্রেনিংয়ের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

জয়পুরহাট সিভিল সার্জন আল মামুন বলেন, ম্যাটস নির্মাণের পর তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে এখন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানামতে, আপাতত ম্যাটসের কার্যক্রম থাকবে না। রেসিডেনসিয়াল ফিল্ড সাইট ট্রেইনিংয়ের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

মন্তব্য

সারা দেশ
The United Nations must keep pace with the times Dr Yunus

জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : ড. ইউনূস

জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শান্তি ও বহুপাক্ষিকতার যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জাতিসংঘকে ক্রমাগত বিকশিত হতে হবে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘যদি জাতিসংঘ আমাদের সবার শান্তি ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে অভিযোজিত হতে হবে। আমরা জাতিসংঘ সংস্কারের পক্ষে— যাতে এটি আরও গতিশীল, সমন্বিত এবং পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবার প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়।’

প্রধান উপদেষ্টা ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। এ বছর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনে আমরা অঙ্গীকার করছি যে, জাতিসংঘ সনদে কল্পিত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।’

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ, জাতিসংঘ সব অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ‘জাতিসংঘ দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, ‘এ দিনটি হলো ভয় ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার নতুন করে স্মরণ করার একটি সুযোগ। একই সঙ্গে জাতিসংঘ যে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও ঐকমত্যের চেতনা বহন করে, তা পুনরুজ্জীবিত করারও সময়।’

গত আট দশকে জাতিসংঘ তার কার্যক্রমের পরিধি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্বজুড়ে সম্পৃক্ততা আরও গভীর করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে এক অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একটি সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও অবদানশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘শান্তির সংস্কৃতির পতাকা হাতে নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে অংশ নিয়েছে এবং নীল হেলমেটধারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে অবস্থান করছে।’

‘আমাদের অনেক সাহসী শান্তিরক্ষী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন,’ যোগ করেন অধ্যাপক ইউনুস।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রেই হোক—বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় বিকশিত হয়।

‘তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, একতরফা সিদ্ধান্ত ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে বিশ্বে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে,’ তিনি মন্তব্য করেন।

সাম্প্রতিক সংঘাতসমূহ বিশ্বকে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বহুপক্ষীয় কূটনীতি এখন কঠিন পরীক্ষার মুখে। চরম জাতীয়তাবাদ ও মানবিক কষ্টের প্রতি উদাসীনতা মানবজাতির দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত অগ্রগতিকে ধ্বংস করছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্বের মানুষ গাজার এক ভয়াবহ গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার প্রত্যক্ষ করছে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব অঞ্চলেও আমরা রোহিঙ্গাদের অধিকারবঞ্চনা ও নির্যাতনের সাক্ষী। এটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির ফল। এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নতুন মনোযোগ কামনা করেছি।’

মন্তব্য

সারা দেশ
NCP is sitting in a meeting with consensus commission

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে এনসিপি

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে এনসিপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এনসিপির প্রতিনিধি দলে থাকবেন—দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
2 killed and 4 injured after cow laden wagon overturned in Dhamirhat

ধামইরহাটে গরুবোঝাই ভটভটি উল্টে নিহত ২ আহত ৪

ধামইরহাটে গরুবোঝাই ভটভটি উল্টে নিহত ২ আহত ৪

নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই ইঞ্জিন চালিত ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালকসহ দুইজন মারা গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস সড়কের তালঝাড়ি ফুটবল মাঠের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন ভটভটি চালক আড়ানগর এলাকার বাসিন্দা পাড়ার জয়দুল ইসলামের ছেলে মাসুদুর রহমান মওলা (৩৫) ও আড়ানগর গ্রামের নজিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ ভুট্টু (৪০)।

এ ঘটনায় আড়ানগর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে জিহাদ (২৫), ফতেপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে জাইদুল ইসলাম (৫৫), লক্ষণপাড়া গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৭০) ও মোটরসাইকেল চালক দিনাজপুর জেলার জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. সেলিম রেজা আহত হয়েছেন। আহত সেলিম ও নাজিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে উপজেলার আড়ানগর এলাকা থেকে একটি ভটভটিযোগে বিহারীনগর-পিড়লডাঙ্গা বাইপাস সড়ক হয়ে জয়পুরহাট জেলার গরুর হাটে যাচ্ছিলেন কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। পথে বাইপাস সড়কের তালঝাড়ি এলাকার ডবল ব্রিজের কাছে একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভটভটি ও মোটরসাইকেল উল্টে রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ধামইরহাট থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস টিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।

ধামইরহাট থানার ওসি ঈমাম জাফর জানান, নিজ গাড়িতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত্যুবরণ করায় এবং কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Russia took control of 10 more areas of Ukraine

ইউক্রেনের আরও ১০টি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিলো রাশিয়া

ইউক্রেনের আরও ১০টি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিলো রাশিয়া

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, গত এক সপ্তাহে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক, খারকিভ এবং জাপোরিজঝিয়া অঞ্চলের মোট ১০টি নতুন বসতির দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এই এলাকাগুলো রুশ নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, একই সময়সীমায় ইউক্রেনীয় সেনাদের ২২টি অস্ত্রাগার ও সামরিক সরঞ্জামাগার ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনীয় বাহিনী একাধিকবার বিমান হামলার চেষ্টা করলেও প্রতিবারই তা ব্যর্থ হয়েছে।

রুশ পক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ১৭ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইউক্রেন হারিয়েছে একটি এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান, চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ১৮টি গাইডেড বোমা, ১৫টি হিমার্স রকেট এবং ১,৪৪১টি ড্রোন।

রাশিয়ার এই দাবির বিষয়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

উল্লেখ্য, ন্যাটো জোটে যোগদানের ইচ্ছা এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া ইস্যু ঘিরে কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।

গত তিন বছরে রুশ সেনারা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজঝিয়া ও খেরসন প্রদেশের অংশবিশেষ দখল করেছে, যা ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-দশমাংশ। দখলকৃত এলাকা পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না।

মন্তব্য

সারা দেশ
The hot weather will continue in Dhaka today

ঢাকায় আজও অব্যাহত থাকবে গরমের দাপট

ঢাকায় আজও অব্যাহত থাকবে গরমের দাপট

রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় গরমের দাপট কমছে না। সকালে কিছুটা শীতল বাতাসে স্বস্তি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে অস্বস্তি ফের বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজও তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দিনের বেলায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১ মিনিটে।

অন্যদিকে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে আজ চট্টগ্রাম বিভাগের দু–একটি স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মন্তব্য

সারা দেশ
The Finance Department has identified two sources of funds to implement the new pay scale

নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নে অর্থের দুই উৎস দেখাল অর্থ বিভাগ

নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নে অর্থের দুই উৎস দেখাল অর্থ বিভাগ

সরকারি চাকরিজীবীদের ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করে নতুন বেতন নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন। নতুন বেতন স্কেল আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কার্যকর হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই কার্যকর হতে পারে নতুন বেতন স্কেল। সে হিসাবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই নতুন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয় জাতীয় বেতন কমিশন। যারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে চায় আগামী ডিসেম্বরে।

তবে এ খসড়া প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারের ওপর অর্থনৈতিক বাড়তি চাপ আসবে। নতুন কাঠামোতে শুধু যে সরকারের ব্যয় বাড়াবে তা নয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ব্যয় করার মতো আয়ও আগের তুলনায় বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। সম্প্রতি জাতীয় পে-কমিশনকে এমন মত দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

এর আগে, নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক চাপ সামাল দেওয়ার বিষয়ে মত চেয়েছিল পে-কমিশন। ওই মতামতে অর্থ বিভাগ আরও বলেছে, ২০১৫ সালের পর বিগত এক দশকে বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি চাকরিজীবীদের। ফলে বর্তমান বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে পড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে অর্থ বিভাগ। পে-কমিশন সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে সংকটকালীন চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর জন্য পে-কমিশন গঠন করে সরকার। যে কারণে অর্থের সংস্থান নিয়ে পে-কমিশনও কিছুটা উদ্বেগে আছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার মানসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় বেতন বাড়ানোর হার শতভাগ হতে পারে। কারণ ২০১৫ সালের পর থেকে আর কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। যদিও প্রতিবছর চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। কিন্তু জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে সর্বনিম্ন বেতনধারীরা খুবই কষ্টে আছেন। তবে বেতন দ্বিগুণ হারে বাড়লে সরকারের ব্যয়ও বর্তমানের তুলনায় এ খাতে দ্বিগুণ হবে। এর চাপ এসে পড়বে সার্বিক অর্থনীতিতে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই গ্যাজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে, পরের রাজনৈতিক সরকার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। আর সেটি বাস্তবায়নের জন্য অর্থের বরাদ্দ দেওয়া হবে চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পে-স্কেল যদি কার্যকর করতে হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরের বাজেটেই সেজন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বাজেট সংশোধন শুরু হবে ডিসেম্বরে, সেখানে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করার বিধান যুক্ত করা হবে।

অর্থ বিভাগ মনে করছে, সর্বনিম্ন বেতন সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের আয়কর পাবে সরকার। যা নতুন বেতন কাঠামোর বাড়তি অর্থ সংস্থানে জোগান দেবে।

দ্বিতীয় হচ্ছে চাকরিজীবীদের বাড়িভাড়া। চাকরিজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরকারি আবাসনে বসবাস করেন। বেতন কাঠামো সমন্বয়ের ফলে সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়ার হার বাড়বে। ফলে ওই উৎস থেকেও সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।

মন্তব্য

p
উপরে